মুখপোড়া হনূমান
মুখপোড়া হনূমান ; ইংরেজিতে Capped Langur, Bonneted Langur বা Capped Leaf Monkey বলে। Primates বর্গের অন্তর্ভুক্ত Cercopithecidae পরিবারের এই হনূমানটির বৈজ্ঞানিক নাম Trachypithecus pileatus। মাথার চূড়ায় মুকুটের মতো কালো পশম থাকায় দেখতে মনে হয় মহাশয় যেন কালো টুপি পড়ে রয়েছেন। দেহের আকৃতি মোটামুটি বড়ই বলা চলে। তবে পুরুষ হনূমানটি চেয়ে স্ত্রী হনূমানটি আকারে বর।এদের দৈর্ঘ্য দেহের থেকেও লম্বা হয়ে থাকে ( পুরুষ হনূমানঃ ৬৮-৭০ সেন্টিমিটার , স্ত্রী হনুমানঃ ) । পুরুষ হনূমানটির মুখ, কান, পায়ের পাতা কুচকুচে কালো, পিঠের লোমের রঙ কালচে বা কালচে বাদামী, বুকের দিকের পশমের রঙ লালচে থেকে সোনালি- হলুদ রঙের হয়ে থাকে। সদ্য জন্মানো এবং ছোট বাচ্চা হনূমানের পশমের রঙ সাদাটে থেকে হালকা সোনালি রঙের হয়। মুখপোড়া হনূমান মূলত বৃক্ষচারী এবং দিবাচর প্রাণী । এরা দলবদ্ধ হয়ে বসবাস করে। প্রতিটি দলে সাধারণত ৭ থেকে ৯ টি হনূমান থাকে। হনূমানের প্রজনন সময় সাধারণত জানুয়ারী থেকে এপ্রিল প্রজন্ত ।
বাংলাদেশের সিলেট ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের মিশ্র চিরসবুজ বনে এবং টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহের পাতাঝরা বনে এদের দেখা যায়। পত্রভোজী এই প্রাণীটি গাছের কচি পাতা ছাড়াও পাতার বোটা , কুঁড়ি ও ফুল এদের খাদ্য। বিশ্বব্যাপী হুমকির মুখে থাকা এই প্রাণীটি মানুষের বাসস্থানের জন্য বন ভুমি ব্যাবহার, জুম চাষ, প্রাকৃতিক বন কেটে নতুন করে বনায়ন, ঘর বাড়ী ও জ্বালানির জন্য কাঠ সংগ্রহ , চোরা শিকার, এবং ঔষধ তৈরির ইত্যাদির কারণে আজ পৃথিবী থেকে বিলীনের মুখে। অপর দিকে এই প্রাণীটি আমাদের বাস্তুসংস্থানের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং দেশী বিদেশী পর্যটকদের বিনদনের এক অনন্য মাধ্যম। আমাদের সকলের সচেতনতা এবং বনের প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণেই পারে এই সুন্দর প্রাণীটিকে পৃথিবীর বুকে টিকে রাখতে।
Ashraful Hasan Sazzad (মুখপোড়া হনূমান গবেষক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় )
মুখপোড়া হনূমান ; ইংরেজিতে Capped Langur, Bonneted Langur বা Capped Leaf Monkey বলে। Primates বর্গের অন্তর্ভুক্ত Cercopithecidae পরিবারের এই হনূমানটির বৈজ্ঞানিক নাম Trachypithecus pileatus। মাথার চূড়ায় মুকুটের মতো কালো পশম থাকায় দেখতে মনে হয় মহাশয় যেন কালো টুপি পড়ে রয়েছেন। দেহের আকৃতি মোটামুটি বড়ই বলা চলে। তবে পুরুষ হনূমানটি চেয়ে স্ত্রী হনূমানটি আকারে বর।এদের দৈর্ঘ্য দেহের থেকেও লম্বা হয়ে থাকে ( পুরুষ হনূমানঃ ৬৮-৭০ সেন্টিমিটার , স্ত্রী হনুমানঃ ) । পুরুষ হনূমানটির মুখ, কান, পায়ের পাতা কুচকুচে কালো, পিঠের লোমের রঙ কালচে বা কালচে বাদামী, বুকের দিকের পশমের রঙ লালচে থেকে সোনালি- হলুদ রঙের হয়ে থাকে। সদ্য জন্মানো এবং ছোট বাচ্চা হনূমানের পশমের রঙ সাদাটে থেকে হালকা সোনালি রঙের হয়। মুখপোড়া হনূমান মূলত বৃক্ষচারী এবং দিবাচর প্রাণী । এরা দলবদ্ধ হয়ে বসবাস করে। প্রতিটি দলে সাধারণত ৭ থেকে ৯ টি হনূমান থাকে। হনূমানের প্রজনন সময় সাধারণত জানুয়ারী থেকে এপ্রিল প্রজন্ত ।
বাংলাদেশের সিলেট ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের মিশ্র চিরসবুজ বনে এবং টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহের পাতাঝরা বনে এদের দেখা যায়। পত্রভোজী এই প্রাণীটি গাছের কচি পাতা ছাড়াও পাতার বোটা , কুঁড়ি ও ফুল এদের খাদ্য। বিশ্বব্যাপী হুমকির মুখে থাকা এই প্রাণীটি মানুষের বাসস্থানের জন্য বন ভুমি ব্যাবহার, জুম চাষ, প্রাকৃতিক বন কেটে নতুন করে বনায়ন, ঘর বাড়ী ও জ্বালানির জন্য কাঠ সংগ্রহ , চোরা শিকার, এবং ঔষধ তৈরির ইত্যাদির কারণে আজ পৃথিবী থেকে বিলীনের মুখে। অপর দিকে এই প্রাণীটি আমাদের বাস্তুসংস্থানের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং দেশী বিদেশী পর্যটকদের বিনদনের এক অনন্য মাধ্যম। আমাদের সকলের সচেতনতা এবং বনের প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণেই পারে এই সুন্দর প্রাণীটিকে পৃথিবীর বুকে টিকে রাখতে।
Ashraful Hasan Sazzad (মুখপোড়া হনূমান গবেষক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় )
No comments:
Post a Comment